শিরোনাম :

জগন্নাথপুরে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে চারিদিকে চলছে গুঞ্জনের সুর।



স্টাফ রিপোর্টার

ঘটনা সুত্রে জানা যায়‚ বিগত ১৬ এপ্রিল রোজ শুক্রবার জগন্নাথপুর পৌরসভার ০৮নং ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মাসুম আহমেদ মৃত্যু বরণ করেন। এ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুষ্টু প্রকৃতির এক শ্রেণী লোক এলাকার নিরিহ লোকজনকে হুমকি দামকি ও মিথ্যা হত্যা মামলায় ফাসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনার সত্যতা জানতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা যায়‚ মোঃ সুরুজ আলীর ছেলে মো রুবেল মিয়া জুম্মার নামাজের পূর্বে মসজিদে উপস্থিত এলাকাবাসিকে জানান, তাদের চলাচলের রাস্তায় মসুম আহমেদ গংরা বাঁশ ফেলে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এবং রাস্তাটি খোলে দেওয়ার জন্য বললে মাসুম আহমেদের লোকজন বিভিন্ন হুমকি দামকি দেয় ও গালিগালাজ করে। উপস্থিত মুসল্লীগন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এলাকার সালিসি ব্যক্তিবর্গ সাবেক কাউন্সিলর ও বর্তমান কাউন্সিলরকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য আসলে তাদের উপস্থিতিতে মাসুম আহমেদ ও রুবেল মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় উপস্থিত এলাকার সালিসি ব্যক্তিগন সাথে সাথে বিষয়টি সমাধানের জন্য মাসুম মিয়ার বাড়ির উঠানে বসেন, এসময় জগন্নাথপুর থানার এস আই মুক্তার মিয়ার উপস্থিতিতে রমজান মাস উপলক্ষে আলোচনা করে রাস্তার বাঁশ সরানো হয় এরপর রমজান মাসের পরে বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করে দিবেন বলে উভয় পক্ষকে শান্ত সুষ্ঠু ভাবে মিলেমিশে চলাচল করার জন্য বলে যান। এসময় মাসুম মিয়া আলোচনায় সুস্থ্য ভাবে উপস্থিত  ছিলেন এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তখন উভয় পক্ষই সালিসি ব্যক্তিগণের ও এস আই মুক্তার মিয়ার কথা মেনে নিয়ে নিজনিজ ঘরে ফিরে যান। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ঘটনার দিন-ই রাত ৯ ঘটিকার সময় মাসুম আহমেদ মৃত্যু বরণ করলে এ নিয়ে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনার সত্যতা জানতে চাওয়া হলে স্থানীয় গ্রামবাসিরা সাংবাদিকদের বলেন‚ এই ঘটনার পরে মাসুম আহমেদ স্বাভাবিক ছিলেন‚ যদি গুরুতর কিছু হতো তাহলে তাৎক্ষণিক তাকে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হতো কিন্তু এমনটি আমরা দেখতে পাইনি। তিনি কিভাবে মারা গেলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন‚ এটা আসলে আমরা জানিনা‚ যদি সুষ্ঠু তদন্ত করা হয় তবে আশা করি সত্য উদঘাটিত হবে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায় তিনি রোজা ছিলেন এবং ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে মাসুম আহমেদ ইফতার করতে বসলে তার বুকে ব্যথা শুরু হয় এবং তিনি সাথে সাথে ভমি করেন। এসময় তার অবস্থার অবনতি ঘটলে আত্মীয় স্বজনরা তাকে দ্রুত জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান‚ সেখানে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যাবার পরামর্শ দিলে যাত্রা পথেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান তারা।

এই ঘটনায় জগন্নাথপুর থানা পুলিশ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫৪ধারায় আটক করে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এবং লাশ ময়নাতদন্ত করে সুনামগঞ্জ থেকে নিয়ে আসার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদশক এস আই রাজিব রহমান বলেন

 এই ঘটনায় এখন মামলা দায়ের হয়েছে তিন জন জেলে আছেন। এলাকাবাসী এ সাংবাদিকের মধ্যমে অনুরোধ করেন এ ঘটনায় নিরপরাধ কাউকে যেন হয়রানি না করা হয়।।

Commentbox

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recents