জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ইসাকপুর গ্রামের শ্মশানঘাট রকম ভূমি অন্যত্র বিক্রি করার পায়তারা করছেন একটি কুচক্রি মহল। এব্যপারে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক জন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। শ্মশানঘাট রকম ভূমি রক্ষায় প্রশাসনের সু-দৃষ্ঠি কামনা করেছেন ইসাকপুর কালাচাঁন জিউর উপসনালয় গ্রামবাসি। এদিকে শ্মশানঘাট রকম ভূমি নিয়ে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার ইসাকপুর মৌজায় কালাচাঁন জিউর উপসনালয় ও শ্মশান রকম আট শতক ভুমি যা ইসাকপুর এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘ শত বছর ধরে শ্মশানঘাট ও কালাচাঁদ গাছ তলা হিসেবে উপাসনা করে আসছেন। তাদের আদিপুরুষ থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে এই শ্মশানরকম ভূমিটি শ্মশানঘাট হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। বর্তমান আর এস রেকর্ডে ১৫ শতক জায়গার মধ্যে ১০৩৫ নং খতিয়ানে ১৮৮৪ নং দাগে ৮ শতক ভুমি দং শ্রী শ্রী কালা চানঁ জিউর উপসনালয় কমিটির পক্ষে সেক্রেটারী নামে রেকর্ড হয়েছে। বাকি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক মালিকানায় ১নং খতিয়ানে ১৮৮৪ দাগে ৭ শতক শ্মশান রকম ভূমিতে হিন্দু সাধারনের ব্যবহারযোগ্য ভূমি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়। উক্ত ভূমি নিয়ে ইসাকপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায় এবং একই গ্রামের বর্তমানে সিলেটে বসবাসরত বিশ্ব বন্ধু দও পুরকায়স্থ গং পিতা মৃত চিও রজ্জন দও নামে সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত এস এ ২০৯৬ দাগ হইতে জালিয়াতি করে তাদের নামে আর এস ফাইনাল ৫২৫ খতিয়ানে ১৮৮৫ দাগে খাল/ডুবা রকম ভূমি হইতে ৪ শতক ভূমি রেকর্ড করান। বর্তমানে উক্ত ৪ শতক ভূমি অন্যত্র বিক্রি করার পায়তারা করছে এতে উক্ত উপসনালয় ও শ্মশান ঘাটের সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।এর জের ধরে ইসাকপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে ধীরেন্দ্র কুমার সেন গং জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।। অভিযোগে উল্লেখ করেন ইসাকপুর গ্রামের সংখ্যা লঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পূর্ব পুরুষরা শত শত বছর পূর্ব থেকে ভুমিতে শ্রী শ্রী কালা চান জিউড় উপসনালয় ও শ্মশান ঘাট হিসেবে উক্ত ভুমির পাশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের স্হান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ইসসাকপুর গ্রামের ধীরেন্দ্র কুমার সেন বলেন আমাদের পূর্বপুরুষ গন শ্মশানঘাট হিসেবে ব্যবহার করে আসছি।সরকারি জায়গা জালিয়াতি করে ৪ শতক ভুমি বিশ্ব বন্ধু দও গং তাদের নামে নিয়ে যান।আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। ইসাকপুর গ্রামের মাখন দেবনাথ জানান, আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে উক্ত শ্মশানে আমরা আমাদের মৃত ব্যক্তিদের সৎকার করে আসছি। আমাদের শ্মশানঘাট রকম ভূমি দখল করে নেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।ভুমিখেখু বিশ্ব বন্ধু দও পুরকায়স্থ। ইসাকপুর গ্রামের মতিলাল আচার্য বলেন সরকারি জায়গা, জালিয়াতি করে বিশ্ব বন্ধু দও পুরকায়স্থ তার নামে চার শতক ভুমি রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন আমি অভিযোগ টি পেয়েছি, তফশিল দারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পক্ষদ্বয় দ্বারা নালিশা ভূমির শান্তি শৃঙখলার বিনষ্ট হলে সেই পক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Commentbox