শিরোনাম :

নিমতলী ট্রাজেডির ১১ বছর পূর্ণ হবে আগামীকাল: কি হয়েছিলো সেদিন?



আহমেদ হোসাইন ছানু, ঢাকা অফিসঃ

২০১০ সালে ৩ জুন ঘটে নিমতলী ট্রাজেডি। ভয়াবহ আগুনে ঝরে যায় ১২৪ টি প্রাণ। রাসায়নিকের গুদামে রক্ষিত দাহ্য পদার্থের কারণেই পুরান ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলীতে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়।নীমতলী ট্রাজেডির পর টাস্কফোর্স গঠন, অঙ্গিকার ও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজধানী থেকে রাসায়নিকের গুদাম-কারখানা সরিয়ে নিতে হয় দুটি কমিটি। সেই কমিটি কেরানীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে জায়গা ঠিক করার সুপারিশসহ উচ্চ মাত্রার বিপজ্জনক ৫ শতাধিক রাসায়নিকের তালিকা করে প্রতিবেদন দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়ে। বাস্তবায়ন হয়নি তার।এর পর কেটে গেছে বেশ কয়েক বছর। কিন্তু বদলায়নি পুরান ঢাকা। আবারো লাশের মিছিল। চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ। কি হয়েছিলো সেদিন নিমতলীতে?২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলীর ৪৩ নম্বর বাড়িতে রাত ৯টার দিকে কেমিক্যালের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ছয়তলা বাড়িটির নিচতলায় দুই বোন রুনা আর রত্মা এবং পাশের বাড়িতে আসমা নামে এক মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনেরা পার্লারে সাজছিল। আর বাড়ির নিচতলায় রান্না চলছিল।রান্নার জায়গার পাশেই ছিল কেমিক্যালের গুদাম। প্রচণ্ড তাপে গুদামে থাকা কেমিক্যালের প্লাস্টিক ড্রাম গলে যায়। এরপর মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে দরজা জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। রাসায়নিক তপ্ত লাভার মতো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। অল্প সময়েই পুরো এলাকাটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরিতে রূপ নেয়। ঘটনাস্থলে নিচতলায় থাকা একই পরিবারের এগারোজনের মৃত্যু হয়। আর সামনের ৫৫ নম্বর বাড়ির ৬ জন এবং বিয়ের বাড়ি লাগোয়া বাড়ির আরো ছয়জনের তাত্ক্ষণিক মৃত্যু হয়।বিয়ের সাজের জন্য পার্লারে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তিন কন্যা। পরে তিন কন্যাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতৃস্নেহে গণভবনে নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেন। তিন মেয়ের স্বামীদের চাকরি দেন প্রধানমন্ত্রী

Commentbox

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recents