জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ঘর থেকে নগদ অর্থ ও বিভিন্ন মালামাল লোটপাটের দায়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারী
জগন্নাথপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রশিদ আলীর স্ত্রী মোছাঃ সাবিরা বেগম (৫০)।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন- একই গ্রামের পাশ্ববর্তী বাড়ীর কয়েকজন দুস্কৃতিকারী লোক পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধমকী দিয়ে আসছে।
উক্ত শত্রুতার আক্রোশে কয়েকজন দুস্কৃতিকারী ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করে। তারা প্রায় সময়ই তাকে রাস্তাঘাটে একাকী পেয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি সহ হুমকী ধামকী দেয় বলেও অভিযোগে পত্রে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন তাদের হুমকীজনিত ই বাহির হইয়া বসত বাড়ীর ঘরের বাহিরে থাকা বৈদ্যুতিক লাইটের আলোতে হুমকী দাতা কয়েকজন আমার ঘরের আসবাবপত্র নিয়া যাইতেছে দেখিতে পাই।।
এসময় আমার শোর-চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসেন এবং দুস্কৃতিকারীদের তারা চিনতে পারেন। কিন্তু তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র থাকায় কেউ সাহস করে এগিয়ে যেতে পারেননি। এতে দুস্কৃতিকারীরা নিরাপদেই সেখান থেকে চলে যায়।
পরে ঘরের দিকে গিয়ে দেখি দরজার তালা ভাঙ্গা, ও সোকেছের গ্লাস ভাঙ্গা, দুস্কৃতিকারীরা আমার বসত ঘরের দরজার তালা ভাঙ্গিয়া বসত ঘরের ভিতরে থাকা কাঠের তৈরি সুকেচের গ্লাস ও ড্রয়ার ভাঙ্গিয়া ড্রয়ারে থাকা নগদ ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা, দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার (হাতের কানের ও গলার), (যার মূল্য অনুমান ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা সহ বিভিন্ন দামিদামি কাপড় চোপড় নিয়া গিয়াছে। এতে তার সর্বমোট ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এঘটনায় আট জনের নাম উল্লেখ করে তিনি জগন্নাথপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জগন্নাথপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Commentbox