জগন্নাথপুরে টাকা ছাড়া মিলে না প্রতিবন্ধী-বয়স্ক ভাতা”র কার্ড।

মো,আলী হোসেন খান:
দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সমাজ সেবা অফিস। স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্মচারীরা প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ভাতা ভোগীদের কার্ড দিতে টাকা ছাড়া কোনো কাজই করনেনা। এছাড়াও নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন কর্মচারীরা
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য জগন্নাথপুর সমাজ সেবা কার্যালয়ে আসেন পৌর এলাকার মৃত আসকর আলীর স্ত্রী জয়তেরা বিবি (১১০) তিনি ভাতার কার্ড পাওয়ার জন্য অনেক বার অফিসে যাওয়া আসা করলেও মন গলেনি সেই অফিসারের। ভাতার কার্ড নিতে আসা এক মহিলা বলেন সুব্রতরে টাকা না দিলে কাজ হয়না অনেক ঘুরাঘুরির পর কাজ না হওয়াতে অফিসের কর্মচারী সুব্রত তালুকদার নামের এখজনকে ভাতার কার্ড করানোর জন্য ৫০০ টাকা দিলেও এখন ভাতার কার্ড পাইনি।
জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন মায়ের মরণোত্তর ভাতা পেতে অনেক হয়রানী হয়েছি, অবশেষে মরণোত্তর ভাতার খরছ বলে সুব্রত বাবু ১০০০ টাকা নিয়ে এখন কাজ করেননি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সমাজ সেবা অফিসের সিনিয়র অফিসারদের কথা বলে দীর্ঘদিন থেকে প্রতিটি বয়স্ক প্রতিবন্ধীর ভাতার কার্ডের আবেদনের বিপরীতে নির্দিষ্ট অংকের টাকা নিচ্ছে অফিসের কর্মচারী সুব্রত বাবু ও আনোয়ার হোসেন।
এই বিষয়ে সুব্রত তালুকদার বলেন টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়টি মিথ্যা, আমি কোনো কাজে টাকা খাইনা।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেয়া অসহায় মানুষের জন্য ভাতার টাকা স্বচ্ছভাবে বিতরণ হবে এমনটাই চাওয়া সাধারণ মানুষের।
এই বিষয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার বিলাল হোসেন বলেন, সমাজ সেবা অফিসে বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতার কার্ড করতে কোনো ধরনের টাকা লাগেনা, টাকা লেনদেনের বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি সরকারি সেবা জনস্বার্থে নিরপেক্ষভাবে এবং দুর্নীতিমুক্ত রাখার চেষ্টা করি। সমাজ সেবা অফিসের কর্মচারীদের বিষয়ে মানুষকে হয়রানীর অভিযোগ আরও শুনেছি এই বিষয়টি তাদের উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।