রবিবার, ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

জগন্নাথপুরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্রকরে সংঘর্ষ- আহত-১, থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে বাকী টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।   এতে এক ব্যবসায়ী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর গ্রামের মৃত ইলিয়াস মিয়ার   ছেলে ফারখাস মিয়া ও একই গ্রামের মৃত সওদাগর মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী ফজলু মিয়ার মধ্যে বাকী টাকা   চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের   মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এতে বাজারের  ব্যবসায়ী   ফজলু মিয়া এতে আহত হন।  সরেজমিনে গিয়ে জানা  যায় গত ২০  সেপ্টেম্বর  বুধবার সকালে শিবগঞ্জ বাজারে ব্যবসায়ী ফজলু মিয়া ও ফারখাস মিয়ার ভাই ইজাজ এর সাথে ঘটনার আগের দিন তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ব্যবসায়ী ফজলু মিয়া ফারখাস মিয়ার মৃত বাবার কাছে বাকী টাকা পায় বলে বিষয়টি বাজারে ছড়িয়ে দেয়।
ঘটনার দিন সকালে ফারখাস মিয়া ব্যবসায়ী ফজলু মিয়ার দোকানে গিয়ে তার মৃত বাবার কাছে টাকা পায় বলে ফারখাস মিয়া ফজলু মিয়াকে জিজ্ঞাসা করে।জিজ্ঞাসা করার পর এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ব্যবসায়ী ফজলু মিয়া আহত হন। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ বাজার তদারক কমিটির সদস্য নছির মিয়া বলেন- বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা শুনে বাজারের সেক্রেটারী মিলাদ মিয়া সহ আহত ফজলু মিয়ার বাড়ীতে গেলে বিষয়টি সুষ্টভাবে সমাধানের আশ্বাস দিলে ফজলু মিয়া এতে সাড়া দেননি। বাজারের সিনিয়র সদস্য মর্তুজ আলী বলেন- ঘটনা শুনে আমি সমাধানের চেষ্টা করেছি।
ঘটনার দিন সন্ধ্যার সময় বাজার সেক্রেটারী অফিসে সালীশের কথা ছিলো। সালিশ বৈঠক অমান্য করে ফজলু মিয়া জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এ বিষয়ে আহত ফজলু মিয়া বলেন- ফারখাসের ভাই ইজাজের কাছে বাকীটাকা চাইলে সে আমার সাথে রাগান্মিত হয়ে কথা বলে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে বলছিলাম তার বাবার কাছে ৩০০ টাকা বাকী ছিলো! এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন সকালে তারা আমার দোকানে এসে আমার উপর হামলা চালায়। আমি অসুস্থ্য থাকা অবস্থায় বাজার কমিটির কেউ যোগাযোগ না করাতে আমি আইনের আশ্রয় নেই।  এ বিষয়ে শিবগঞ্জ বাজার  তদারক  কমিটির সেক্রেটারী ও রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মিলাদ মিয়া বলেন- ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক, বাজারে এই ধরনের ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয়। আমি বিষয়টি সমাধানের অনেক চেষ্টা করেছি। সার্বক্ষনিক ফজলু মিয়ার খোজ খবর নিয়েছি। আমরা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করতে চাইলে আমাদেরকে সুযোগ নাদিয়ে তিনি জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি এখন থানার তদন্তাধীন রয়েছে।এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার এস আই রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বিট অফিসার অলক বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি এখন তদন্তাধীন রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়