শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জগন্নাথপুরে বাবার রক্ত দেখে আহত মেম্বার আত্মরক্ষার জন্য হাতে নেন লাঠি।

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলাদ সহ উভয়পক্ষের প্রায় ২৬ জন লোক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বিষয়টি মদ্দস্ত করতে গিয়ে লাঠির বাড়ি মাথায় পরে ইউপি সদস্য মিলাদ মিয়া আহত হন।
এসময় বেশ কয়েকজন উপস্থিত সালিশি ব্যক্তিরা ও আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ইউপি সদস্য মিলাদ মিয়ার পিতা জুনু মিয়া সালিশ করতে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে নিজেকে আত্মরক্ষা করতে গিয়ে হাতে লাঠি নেন মিলাদ মেম্বার।
এই বিষয়টিকে বিভিন্ন ভাবে অপ-প্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।
এই অপ-প্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ : কুবাজপুর গ্রামে ছোটদের ফুটবল খেলা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে উভয় পক্ষের ৫ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার কুবাজপুর গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় গ্রামের ফারখাছ মিয়া ও ইয়াওর মজিদের পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি করে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পরদিন সোমবার ফারখাছ মিয়ার লোকজনদের উপর আকষ্মিক হামলা করে বসে ইয়াওর মজিদের পক্ষের লোকজন। পরে বাদ্য হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ফারখাছ মিয়ার লোকজন। ঘটনার খবর পেয়ে পরদিন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
পরে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে এবং বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা্ করে।
ঘটনার দিন ফারখাস মিয়ার ভাই ইউসুব মিয়া শিবগঞ্জ বাজারে যাওয়ার পথে পূর্বথেকে ওৎ পেতে থাকা ইয়াওর মজিদ পক্ষের লোকজন তার উপর আকষ্মিক হামলা করে বসে। পরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে
দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৬ জন আহত হন। সংঘের্ষের সময় সালীশি ব্যাক্তিরা মধ্যস্থতা করলে ঘটনাস্থলে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মিলাদ মিয়া সহ আরো বেশ কয়েকজন আহত হন।
এব্যাপারে জানতে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ২বারের জননন্দিত মেম্বার, শিবগঞ্জ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, কুবাজপুর অরূনোদয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী সদস্য, কুবাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ সভাপতি, কুবাজপুর আলিয়া মাদ্রাসার নির্বাহী কমিটির সদস্য, মিলাদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- ছোটদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে খেলার মাঠে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি আমি দুপক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আমার প্রতিপক্ষ গ্রুপের একটি দুস্কৃতিকারী মহল বিষয়টিকে নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তারা যেকোনো ভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা বিভিন্ন ভাবে মানহানীকর অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে।সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য মিলাদ মিয়া বলেন দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আমি মধ্যেখানে ঢুকে আমি দুই পক্ষকে সমাধান করার চেষ্টা করছিলাম এসময় আমি লাঠির বাড়ি খেয়ে মাতায় আঘাত পাই, পরে দেখি আমার বাবাকে ও তারা মাথায় বাড়ি দিয়ে গুরুতর আহত করে পরবর্তীতে আমি নিজেকে আত্মরক্ষা করতে হাতে লাঠি নিয়েছি কাউকে আঘাত করিনা।
কিন্তু একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে অপ-প্রচার চালাচ্ছে আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ