জগন্নাথপুরের চিহ্নিত মাদক সম্রাট আব্দুল খালিক উরপে গগা অধরা?
অনুসন্ধান প্রতিবেদন :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চিহ্নিত মাদক সম্রাট আব্দুল খালিক উরপে গগা অধরা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উঠান বৈঠকে মাদক ব্যবসায়ীদের নাম ঘোষণা করেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী, পঞ্চায়েত কমিটি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর-সবাই জানে, পুরান জগন্নাথপুর থানা পুলিশে জানে এলাকায় মাদকের মূল ব্যবসায়ী কারা। থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও আছে। প্রশাসনের কাছে আছে তাঁদের বাসাবাড়ির ঠিকানাও। কিন্তু তাঁরা আছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী বলছেন জগন্নাথপুর এলাকায় মাদকের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আলাবকস সন্ন্যাসীর ছেলে আব্দুল খালিক ওরফে গগা ও আবুল হায়াত। তাঁরা ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে ইয়াবা, গাঁজা, এলাকায় আনেন। বিক্রি করেন তাঁদের সহায়তাকারীরা। এর মধ্যে গগা খালিক এলাকায় ‘ইয়াবা সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। গাঁজা ব্যবসাও তাঁর হাতে। আর ফেনসিডিলের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন আবুল হায়াত ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, তথ্য থাকলেও কৌশল ও জনবলের দিক দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পেরে উঠছেন না তাঁরা। আর পুলিশ বলছে, মাদকের এই হোতাদের ধরতে তাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে।
পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দাবি, এই দুই মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁদেরই কোনো কোনো কর্মচারী ও সোর্সদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। এরা প্রশাসনের গতিবিধি আগাম জানিয়ে দেয়। কিন্তু এদের চিহ্নিত করতে পারছেন না তাঁরা।
মাদক নির্মূলে থানা পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করেন।
সেখানে দেওয়া বক্তব্যে পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন সোর্সদের চিহ্নিত করতে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চান। একই অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের নাম ঘোষণা করেন জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।
তিনি এলাকার মাদক ব্যবসার হোতা হিসেবে আব্দুল খালিক ওরপে গগা ও আবুল হায়াতের নাম উল্লেখ করেন।
তাদের নামে জগন্নাথপুর থানায় রয়েছে ১০ টি মামলা।তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।