রবিবার, ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ঢলের পানিতে প্লাবিত জগন্নাথপুর, প্রশংসায় ভাসছে বিদ্যুৎ প্রকৌশলী আজাদ

মো, আলী হোসেন খান::

ঈদুল আজহার রাত থেকে জগন্নাথপুর উপজেলায় পানি বাড়তে শুরু করে। ঈদের দিন থেকে প্লাবিত হয় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাড়িঘর রাস্তা-ঘাট। বেগতিক অবস্থায় প্রথম দিন বিদ্যুৎ না থাকলেও পরের দিন থেকে বিদ্যুৎ সেবা চালু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রশংসায় ভাসছেন জগন্নাথপুরে বিদ্যুৎ প্রোকৌশলী আজিজুল ইসলাম আজাদ। বন্যার সময় বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বিদ্যুত সেবা চালু রেখেছে উপজেলা বিদ্যুত বিভাগ।
তাদের এমন সেবায় খুশি উপজেলার সাধারণ মানুষজন।
জানা যায়, পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টির কারণে জগন্নাথপুর পৌর এলাকা সহ উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। মঙ্গলবার ভোর থেকে পৌর শহরে প্রবেশ করতে থাকে সুরমা নদীর পানি । বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৬৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্রবল বেগে পৌর এলাকায় ঢুকে ভাসিয়ে দেয় প্রায় সবকয়টি রাস্তা । এক ঘন্টার ব্যবধানে মানুষের বসত ঘরে ঢুকতে শুরু করে বানের পানি। পরে আস্তে আস্তে উপজেলার সব-কটি গ্রামে পানি ঢুকতে থাকে। যানমালের নিরাপত্তায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বন্যা কবলিতরা। আকস্মিক এই বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়েন মানুষ।

সীমাহীন দুর্ভোগ ও কষ্টে পড়েন পৌরবাসী। বানের পানি সড়ক ডুবিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে প্রবেশ করে ভোগান্তি বাড়ালেও মানুষ অনেকটা স্বস্তিতে পেয়েছেন সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ থাকায়। প্লাবন পরিস্থিতির মতো দুর্যোগে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখায়

জগন্নাথপুর বিদ্যুৎ প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম আজাদ বানের জলের মতোই প্রশংসায় ভাসছেন। দুর্যোগে পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের আব্দুস শহিদ বলেন, ভোর সাড়ে ৬ টায় পানি প্রবেশ করে ঘরে। পানি ঢুকে পড়ায় সব আসবাবপত্র উপরে তোলার চেষ্টা করি। এসময় এই কাজকে আরও সহজ করে দিয়েছে বিদ্যুতের আলো। বিদ্যুৎ থাকায় ভোগান্তি হলেও স্বস্তি ছিল মনে।

জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল মুকিদ বলেন অন্যান্য সময় দুর্যোগ আসার আগে বিদ্যুৎ চলে যেত। কিন্তু এইবার জগন্নাথপুর বিদ্যুৎ যে সেবা দিয়েছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বিদ্যুৎ না থাকলে নেটওয়ার্ক থাকতো না। যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে যেত। কিন্তু সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ থাকায় কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে। সবার সাথে যোগাযোগ রাখাও সম্ভব হয়েছে।

জগন্নাথপুর বিদ্যুৎ প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম আজাদ বলেন আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি মানুষকে সেবা দিতে, মাঝে মধ্যে ঝড় তুফান আসলে বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হয়, তুফানে বিদ্যুৎ বন্ধ না হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনায় করতে পারে। পরে তিনি বন্যার্ত মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন কারো ঘরে পানি ঢুকলে তারা যদি আশ্রয়কেন্দ্রতে চলে আসেন ঘরের বিদ্যুৎতের মেইন সুইচ যেন বন্ধ করে আসেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়