–শাহ মমশাদ আহমদ–
ভাস্কর্য চুরমার করার দায়ে নমরুদ বাহিনী হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে অগ্নিকান্ডে নিক্ষেপ করে, বর্তমান ভাস্কর্য প্রেমিরা ইব্রাহিম (আঃ) এর উত্তরসুরীদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে,মশালে নমরুদ প্রতিক অগ্নি- জ্বালিয়ে তাওহীদবাদীদের হুমকি দেয়।
&মুর্তি -ভাস্কর্য’র অসারতা তুলে ধরায় তৎকালীন ভাস্কর্যপুজারীরা প্রিয় নবীর (সঃ)তেলাওয়াতের মাহফিলে, সভা- সমাবেশে ব্যাঘাত সৃষ্টি করত, পবিত্র কুরআনের ভাষায়,
لا تسمعو لهذ القران و الغو فيه
কাফেররা একে অপরকে বলত, তোমারা এ কুরআন শ্রবণ করিওনা এবং কুরআন তেলাওয়াতকালীন হট্রগোল সৃষ্টি কর-(সুরা ফুসসিলাত)
বর্তমান সময়ের ভাস্কর্যপ্রেমিরা তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে বাধা প্রদান করে।
& মুর্তিপুজারীরা প্রিয় নবী (সঃ) কে পাগল বলে গালি দিত, বর্তমানে ও ভাস্কর্য প্রেমিকরা নবীর (সঃ) ওয়ারেস আলেমকে পাগল বলে তামাশা করে।
& মুর্তিপুজারীরা প্রিয়নবী (সঃ) কে পবিত্র মক্কার মর্যাদা বিনষ্টকারী বলে অপপ্রচার চালাতো, ভাস্কর্যপ্রেমিরা তাওহীদবাদীদের দেশের স্বাধীনতা বিরুধী বলে অপপ্রচার চালায়।
& মুর্তিপুজারীরা প্রিয় নবী (সঃ) তাদের পুর্বপুরুষকে গালি দিয়েছেন বলে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাতো, বর্তমানে ওরা মরহুম জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তির মিথ্যা অপপ্রচার চালায়।
& আল্লাহদ্রোহী ফেরাউন হযরত মুসা (আঃ) কে যাদু খেলার আহ্বান করেছিল, ওরা তাওহীদপ্রেমীদের শক্তি ও দাপটেরখেলার চ্যালেঞ্জ করে।
& মুর্তিপুজারীরা বংশ মর্যাদা আর ক্ষমতার দম্ভে হুংকার দিত, ওরা ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে হুংকার দেয়।
& মুর্তিপুজারীরা প্রিয় নবীর (সঃ) গায়ে নর্দমা নিক্ষেপ করেছে, ওরা নবীর ওয়ারেসদের গালে জুতা মারার হুমকি দেয়।
& মুশরিকরা প্রিয় নবীকে (সঃ) মক্কায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করে, প্রিয় নবীজীকে (সঃ) হিজরত করতে বাধ্য করে, বর্তমানে ওরা স্থানে স্থানে আলেমদের অবাঞ্চিত ঘোষণার দুঃসাহস দেখায়।
পরিশেষে আলেমদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ভাইদের বলব, প্রিয় ভাই, নাস্তিকদের খপ্পরে পড়ে নিজের ঈমান ধ্বংস করবেননা।
আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন না? নিজে কিভাবে মুশরিক মুর্তিপুজারীদের দলভুক্ত হয়ে জাহান্নামের পথে পা বাড়াচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানকে আপনি যেভাবে ভালোবাসেন, জাতীর গর্বিত একসন্তান হিসেবে তার প্রতি আলেম উলামার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ও কম নয়।
আপনি কি জানেন?যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বানাতে চায়,ওরা মুলত বঙ্গবন্ধুকে জাহান্নামের বন্ধু বানাতে চায়, আলেম উলামা চান তাকে জান্নাতের বন্ধু বানাতে।
তাই আসুন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা দেখাতে দলমত নির্বিশেষে আওয়াজ তুলি,
& বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নয়,প্রতি জেলা শহরে বঙ্গবন্ধুর নামে মসজিদ চাই,
& একেকটা এতিমখানা চাই।
& ঢাকায় একটি মুজিব মিনার চাই।
আল্লাহ ওদের সুমতি দিন, আমাদের হেদায়াতের উপর সুদৃঢ় রাখুন।।
লেখক: মুহাদ্দিস ও কলামিস্ট, সিলেট।