وادعو الى سبيل ربك بالحكمة والموعظة الحسنه
আল্লাহ বলেন, তোমরা উত্তম কথা ও হেকমতের সাথে মানুষকে তোমার রবের পথে দাওয়াত দাও।(সুরা নাহাল)
দাওয়াত দানকারীকে দায়ী বলে, দাওয়াত শব্দেই একজন দায়ীর গুণ লুকিয়ে আছে , আসুন, দেখে নেই দায়ীর গুনগুলি।
কাউকে নিজের বাসায় দাওয়াত দিলে আমরা কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখি
& দাওয়াত দান কালে নরম মিষ্টি ভাষায় দাওয়াত দেই।
& মেহমানের সময়ের প্রতি খেয়াল রাখি।
& রুচি সম্মত খাবার তৈরী করি।
& নিজে বিনয়ী থাকি।
& হাসি মুখে স্বাগত জানাই।
& যানবাহন পর্যন্ত এগিয়ে দেই।
& মেয়ে ভাতিজীর জামাইকে হাদিয়া দেই।
& বিদায় বেলা আবার আসার দাওয়াত দেই।
অথচ ইসলামের দিকে দাওয়াত দানকালে আমরা এর বিপরীত করি।
& বজ্রকঠিন তেজস্বী কন্ঠে দাওয়াত দেই।
& মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে দাওয়াত দেই।
& অরুচিকর শব্দ ব্যবহার করি।
& নিজের দম্ভ প্রকাশ করি।
& গাম্ভীর্য ভাবে থাকি।
& নিজের সম্বর্ধনার জন্য প্রত্যাশী থাকি।
& হাদিয়ার জন্য বায়না ধরি।
& কাংখিত মর্যাদা না পেলে আর না আসার হুমকি দেই।
দাওয়াত শব্দে উহ্য থাকা গুণগুলো না থাকার কারণেই আজ দাওয়াতি মাহফিল,ওয়াজ ও ইসলামী সম্মেলনের ব্যপকতা বেড়েছে কিন্তু কাংখিত ফলাফল পাওয়া যায়না।
& ওয়াজ মাহফিলের পর এ রাতের ফজরের নামাজে মুসল্লীর সংখ্যা কমছে।
& ওয়াজ শুনে সুন্নতের উপর আমল করছে এমন মুসলমানের সংখ্যা কম পাওয়া যায়।
& মাহফিল কমিঠিতে হিংসা বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়।
অথচ গ্রামগঞ্জে এখনো অসংখ্য মুসল্লী পাওয়া যায়, যারা আমাদের বুজুর্গদের দেখে নামাজী, সুন্নাতের পাবন্দ দাড়ীওয়ালা হয়েছেন, কেননা আমাদের বড়রা দরদ নিয়ে সাদামাঠা কথা বলতেন, তারা সুললিত কন্ঠের ওয়ায়েজ ছিলেননা, কিন্তু সত্যিকার দায়ী ছিলেন।
হে আল্লাহ আমাদের সত্যিকার দায়ী হওয়ার তাওফিক দাও।